সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

অতৃপ্ত শুন্যতা


জীবনটা ধীরে ধীরে ফিনিক্স পাখির মত ডানা মেলতে শুরু করছে।ফিনিক্স পাখি যেমন একসময় পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং সেই ছাই থেকে আরেকটি নতুন পাখির জন্ম হয় ঠিক জীবনটাও তেমনই ক্রমাগত শুরু হয়ে আবার শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই জীবনের কোন পূর্ণতা নেই।পূর্ণতাগুলো অতৃপ্তই থেকেই যায়।হয়তবা পূর্ণতা হওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। 
দিন শেষে যখন ঘরে ফেরা পাখিদের দেখা যায় তখন খুব আফসোস বোধ সৃষ্টি হয়।কেননা ঘরে থেকেও মানুষ নিজেকে বিশাল শুন্যতায় আবিষ্কার করছে।ওদের মত ঘরে ফেরার আনন্দ উপভোগ করার ইচ্ছার অভাবটা প্রবল ভাবে অনুভূত হয়।কিন্তু ওই যে,অপূর্ণতা থেকেই যায়। 
অপূর্ণতা ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে। 
প্রতিবার যখন মানবস্বত্বার শুরু হয় তখন মনে হয় এবার যখন শেষ হব তখন এই অপূর্ণতাগুলো আর থাকবেনা।কিন্তু তা আর হয় না। 
হয়তবা আশা করা মানুষের সহজাত প্রবৃতি।তাই হয়তবা আশা করে মানুষ। 
দিন শেষে রাত নামে।ধীরে ধীরে ব্যস্ততার সমাপ্তি ঘটতে থাকে।আরেকটি পূর্ণতাময় দিনের সুচনার আশা করতে থাকি। 
রাত বাড়তে থাকে মনের বাসনাগুলো জীবন্ত হতে থাকে।রাত শেষে যখন পূর্ব দিগন্তে ভোরের রেখা দেখা যায় তখন সেই বাসনাগুলোকে হয়তবা দুঃস্বপ্ন বলে উড়িয়ে দেই।রাতের সেই বাসনাগুলোর স্থানে একরাশ শুন্যতা স্থান নেয়। 
এভাবেই চলতেছে জীবন। 
প্রতিবার অতৃপ্ত হয়ে শেষ হয়ে যাওয়া আবার একবুক আশা নিয়ে শুরু হওয়া 
কিন্তু মুদ্রার ওপিঠে সেই অতৃপ্ততা। 
ক্রমাগত নিষ্পেষিত হচ্ছি এই অতৃপ্ত শুন্যতায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন